হোমনা( কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় মধুকুপি খাল পুনঃখননের কারণে ঝুঁকিতে হোমনা – বিজয়নগরের একমাত্র পাকা সড়ক এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রামবাসি। গ্রামের একমাত্র রাস্তটি দ্রুত সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।নতুবা রাস্তার বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ড্রেজার দিয়ে সড়কের পাশ থেকে মাটি কেটে ফেলার কারণে রাস্তাটি ভেঙে পড়ছে। স্থানীয় প্রশাসন,পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্টে রীট করা হয়েছে। রীর্ট নং -৮৩৭২/২৩ তারিখ-১১/৭/২০২৩ইং।
এদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ একটি প্রভাবশালী গ্রুপকে ম্যানেজ করে ৭/৮ টাকা ঘনফুট দরে বালু বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
বিজয় নগর গ্রামের এ্যাডভোকেট. সেলিম সরকার জানান, বিজয় নগর গ্রামের একমাত্র চলাচলের পাকারাস্তা মধুকপি খাল ঘেষে অবস্থিত। রাস্তাটির দক্ষিন পার্শ্বে মধুকপি খালটি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে এ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসির পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল খালটি বড় ড্রেজার দিয়ে খনন না করে ছোট ড্রেজার বা ভ্যাকু দিয়ে খনন করতে। কিন্ত ঠিকাদার বালু বিক্রির লোভে তা কর্ণপাত করেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বিজয়নগরের রাস্তাটি খালের পার্শ্বে হওয়ার কারনে ঝুঁকিপূর্ণ তাই সাপোর্টিং ওয়াল সহ টেন্ডার হয়েছিল। কিন্ত ঠিকাদার মারা যাওয়ার কারনে আবার রি-টেন্ডার হবে। তবে খালটি ড্রেজিংয়ের কারনে রাস্তাটি আরো ঝুঁকিতে রয়েছে। বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারকে অবহিত করেছি। আপাতত স্থানীয় ভাবে মেরামত করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মো. সেলিম আহাম্মদ মুঠো ফোনে জানান, খাল খনন করার কারনে রাস্তা ভেঙে পড়েছে বিষয়টি এমন না ভারি বর্ষনের ফলে এখনটি হতে পারে। হাইকোর্টের রীটের বিষয়ে তিনি বলেন,১৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। আমরা এর জবাব দিয়েছি। বালু বিক্রির বিষয় জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেন নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় ভাবে মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে খাল খননের বিষয়টি মিটমাট করতে ঠিকাদার ও স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে আগামীকাল বৈঠকে বসবো। এতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি ও থাকবেন।