হোমনা( কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্যঅ্যাসিসটিভ ডিভাইস ক্রয়ের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭৪ হহাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ পেলেও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোনো অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বা সামগ্রী ক্রয় না করে ভূয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে পুরো টাকা উত্তোলন করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান।
জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪২ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস ও সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার চাহিদার বিপরীতে হোমনা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিকল্পনা কর্মসূচির আওতায় ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
কিন্তু রহস্যজনক কারনে প্রতিবন্ধীদের জন্য অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বা সামগ্রী ক্রয় না করে বিল ভাউচার দেখিয়ে সে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। যদিও বিধানমতে এ ধরনের বরাদ্দ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে কমিটির মিটিং করে টেন্ডার বা কোটেশানের মাধ্যমে তা ক্রয় করার বাধ্যবাধকতা ছিল কিন্ত এ সংক্রান্ত মিটিং এর কোন প্রমান দেখাতে পারেননি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা(চঃদা)।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, আমার স্কুলেরর প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা কোনো ডিভাইস বা সামগ্রী পায়নি।
এ বিষয়ে হোমনা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান জানান, প্রতিবন্ধীদের তালিকা সংশোধনের কারনে ডিভাইস বা সামগ্রী বিতরণ করতে পারেননি।জুন মাসে বিল উত্তোলন না করলে অর্থ রিফান্ড হয়ে যাবে। তাই বিলভাউচার দেখিয়ে একাউন্টে জমা করে রেখেছি। পরে প্রতিবন্ধীদের তালিকা সংশোধন করে অ্যাসিসটিভ সামগ্রী ও সামগ্রী বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া করোনার কারনে শিক্ষা কমিটিও আপটেড ছিল না।তাই এমনটা করতে হয়েছে। আমি কখনোই কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নই।
এদিকে কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমন দে জানান, শিক্ষা অফিসার এ সংক্রান্ত কোন তথ্য আমাকে জানায়নি। বিষয়টি জেনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা শিক্ষা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রেহানা বেগম জানান, উপজেলা শিক্ষা কমিটির মিটিংয়ে এ সংক্রান্ত কোন তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। আমি জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান এর মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করলেও রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।