আব্দুল হক সরকার
কোরআনের হাফেজ হওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। তাও আবার মাত্র আট মাসেই! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যিই, আট বছরের সাইমুন ইসলাম নামের এক শিশু ৩০ পারা পবিত্র আল কোরআনের হাফেজ হয়েছে। সে গড়ে প্রতিদিন ১৬ পৃষ্ঠা করে কোরআন মুখস্থ করেছে।
হাফেজ সাইমুন ইসলাম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বটতলি কান্দা পাড়ার রিক্সা চালক মো. আশ্রাফুল ইসলাম ও সাহিদা বেগম এর ছেলে ও উজানচর নুরে মদিনা সুন্নিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার শিক্ষার্থী।
এই ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর সহ আশে পাশের উপজেলার বাসিন্দাদের মাঝে অপার বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মো.নজরুল ইসলামের আয়োজনে মাদ্রাসা মাঠে শিশু হাফেজ সাইমুন ইসলামকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হোমনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. আব্দুল হক সরকার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ গাউছিয়া কমিটির বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ,সাংবাদিক আতাউর রহমান সনেট(,বাংলাদেশ প্রতিদিন) রিফাত আবির( এশিয়ান টিভি), মো. ফারুক ( মানব কন্ঠ) মো. নাছির উদ্দিন ( ডেইলী নিউজ ৭১)।, মো. বাহালুল ইসলাম ( ৭১ টিভি), হোমনা উপজেলার সাংবাদিক কবি দেলোয়ার (দেশ রুপান্তর) আবুল কালাম আজাদ( আলোকিত প্রতিদিন) মো. আল আমিন শাহেদ ( দৈনিক দেশকাল) মো. তপন মিয়া সরকার ( দৈনিক সমাচার) মনিরুজ্জামান, (মফস্বল সংবাদ) মো. রাসেল আহাম্মদ( ঢাকা প্রতিদিন,মো. আলা উদ্দিন ( সময়ের কন্ঠ)।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মোকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল আল-ক্বাদেরী, মোহাম্মদ আলী পলাশ মাষ্টার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার গাউছিয়া কমিটির দপ্তর সম্পাদক হযরত মাওলানা মুফতি দ্বীন ইসলাম আল ক্বাদেরী,
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান,তথ্যও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক গাজী মো.আব্দুল হাই মাষ্টার,মাওলানা জাকির হোসেন,ওবায়দুল্লাহ খান বাদল মেম্বার, অত্র মাদরাসা সদস্য সচিব মো.সেলিম মিয়া প্রমূখ।
জানাগেছে, উজানচর গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম ২০১৯ সালে ৯ শতাংশ জমির উপর এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর ছেলে মাওলানা মুফতি নুর মোহাম্মদ আল ক্বাদেরীর পরিচালনায় তিন বছরে ৯ জন কোরআনে হাফেজ হয়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসার ছাত্র সংখ্যা প্রায় ১০০ জন।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা মুফতি নুর মোহাম্মদ আল ক্বাদেরী জানান,ভর্তি হওয়ার পর থেকে দৈনিক ১৬ পৃষ্ঠা পর্যন্ত কোরআন মুখস্থ করতে শুরু করে। একই সঙ্গে মুখস্থ করা আয়াতগুলো স্মরণে রাখতে সে প্রতিদিন ৪৫ পৃষ্ঠা করে পেছনের পড়া পড়তো। তিনি বলেন স্বাভাবিকভাবে পুরো কোরআন মুখস্থ করতে তিন বছরেরও অধিক সময়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু শিশু সাইমুন ইসলাম মাত্র আট মাসে পবিত্র কোরান হিফজ করে দেখালো।
এদিকে হাফেজ মো.সাইমন ইসলামের পিতা মো.আশরাফুল ইসলাম জানান, আমি গরীব মানুষ রিকসা চালাইয়া সংসার চালাই আমার পরিবারে ৫ জন সদস্যদের দেখাশুনা করে আসছি। আমার ৮ বছর বয়সি ছেলে সাইমুন ইসলাম ৮ মাসে কোরআনের হাফেজ হওয়ায় আমার পরিবার ও আত্মীয়স্বজন সবাই আনন্দিত। ভবিষ্যতে হাফেজ মো.সাইমন ইসলাম যেন বিশ্বখ্যাত আলেম হয়ে ইসলাম ও দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারে তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।