আব্দুল হক সরকার
কুমিল্লার হোমনায় চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন হোমনা সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ফার্মেসীতে চোখ উঠা রোগীদের চিকিৎসা নিতে ভীর জমাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন এটি এক ধরণের ভাইরাস জনিত রোগ, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার বলা হলেও রোগটিকে চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াছে, ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আক্রান্তদের বেশীর ভাগই শিশু ও নারী। সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যেই এই রোগ সেরে যায়। তবে অসাবধানতায় জটিল রূপ ধারণ করতে পারে।
এদিকে হোমনা সদরের বিভিন্ন ফার্মেসীতে সিন্ডিকেট করে চোখের ড্রপের সংকট সৃষ্ঠি করে বেশী দামে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, হোমনা বাজার ও হাসপাতাল রোডের ফার্মেসীগুলোতে তাদের ইচ্ছেমত মুল্যবৃদ্ধি করে একেক জনের নিকট থেকে একেক দামে ঔষধ বিক্রি করছে। অপটিমক্স আইড্রপ, ১২৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, ক্লোলেরাম ফেনিক্যাল আই ড্রপ ১৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকা,আইডেনটি আই ড্রপ ১২৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি করছে।
এ ছাড়া ক্যালসিয়াম জাতীয় ঔষধ” জয়েনিক্স টি এস ঔষধটি অন্য দোকানে ৯০টাকা ( পাতায় ৬টি) হলেও বিল্লাল মেডিক্যাল হলে বিক্রি করেছে ১২০ টাকায়
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ জানান, ঋতু পরিবর্তনে অনেক সময় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। চোখের একেবারে বাইরের স্বচ্ছ অংশটির ডাক্তারি নাম ‘কনজাংকটিভা’। ভাইরাসের সংক্রমণে সেখানে তৈরি হয় প্রদাহ, ঙফুলে যায় চোখের ছোট ছোট রক্তনালি। ফুলে থাকা রক্তনালি গুলোর কারণেই চোখের রং লালচে হয়ে যায়, যেটাকে চোখ ওঠা বা ‘কনজাংকটিভাইটিস’ বলা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, কনজাংকটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগের একমাত্র চিকিৎসা চোখের ড্রপার। তবে ড্রপার ব্যবহারের আগে এর মান ও মেয়াদ সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। প্রয়োজনে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করতে হবে। এখানে পর্যাপ্ত ড্রপার সরবরাহ আছে এবং ভিশনের মাধ্যমে এর সুচিকৎসা করা হচ্ছে।