দর্পণ নিউজ ডেস্ক রিপোর্ট ঃ
কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন (৪০) হত্যার দু’দিন পর ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মমোট ১৭ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মে) রাতে নিহতের স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় এ মামলা করেন। তবে এ পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
উল্লেখ্য গত রোববার (৩০ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজার ঈদগাহ এলাকায় জামাল হোসেন এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার জন্য তার ভাড়া বাসার সামনে দাড়িয়ে ছিল। তখন বোরকা পরিহিত ৩ সন্ত্রাসী জামাল হোসেন কে গুলি করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলের পাশের একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছ। যা সামাজিক মাধ্যম ফেওজবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, অস্ত্রধারীরা হেঁটে বোরকা পরে মসজিদ থেকে পূর্বদিকে জামাল হোসেনের ভাড়া বাসার দিকে যাচ্ছেন। সিসি ক্যামেরার থাকা সময় অনুযায়ী, তখন সন্ধ্যা সাতটা ৪৪ মিনিটে ওই তিন দুর্বৃত্ত দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় একজনের মুখের আবরণ খুলে যায়। আরেকজনের হাত থেকে অস্ত্র পড়ে যায়। অস্ত্রটি কুড়িয়ে নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, তিতাস উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মো. জামাল হোসেন দাউদকান্দির গৌরীপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।
জানাগেছে, জামাল হোসেন কয়েক বছর আগে গৌরীপুর মোড়ে খুন হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেনের অনুসারী ছিলেন। তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের দ্বন্দ্বের জেরে ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে কিনা তা মাথায় নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
এদিকে সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্ত করলেই খুনির সন্ধান পাওয়া যাবে বলে মনে করেন নিহতের পরিবার ও অভিজ্ঞমহল।