হোমনা( কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে ছাদ ও দেওয়াল থেকে পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে চিকিৎসক ও রোগীরা। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার সময় জরুরী বিভাগে রোগী না থাকায় ডাক্তার-স্টাফরা অন্য রুমে থাকায় কেউ হতাহত হয়নি।
এ ঘটনায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে ডাক্তার,নার্স ও স্টাফরা। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুঘর্টনা।
হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এক রোগীর অভিভাবক জানান মাঝেমধ্যেই হাসপাতালের ছাদ ধসে পড়ে। রোগী নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছি। অনেক ডাক্তার থাকলেও ভবনে পলেস্তারা খসে পড়ার কারনে রোগীরা আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।
জরুরী বিভাগের ইনচার্জ উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, সরকারি চাকরি করি তাই বাধ্য হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকা সত্তেও ঝুকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছি।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো. শহীদ উল্লাহ বলেন ৫০ শয্যা হাসপাতাল ভবনটি এতই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে বৃহস্পতিবার সকালে জরুরী বিভাগের ছাদের একটি অংশে পলেস্তারা ধসে পড়ে। কিছুদিন আগে ইউএইচ এফপি স্যারের রুমের ছাদ খসে ৩ জন রোগী আহত হয়েছে।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত জরুরী বিভাগের ছাদটি সংস্কার করা প্রয়োজন, না হলে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মোহাম্মদ আবদুছ ছালাম সিকদার জানান,
হাসপাতালের অবকাঠামো ঝুঁকিপূর্ণ। ২০২১ সালে ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মেরামত করা হয়েছে। কিন্ত বিল্ডিং ই দূর্বল হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে অবকাঠামোর বর্ণনা, ছবিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লেখেছি। আশা করছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১০০ শয্যায় রুপান্তরের ঘোষণা পাবো, সাথে নতুন ভবন।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসেন মুঠোফোনে যুগান্তরকে জানান,নতুন ভবনের জন্য প্রস্তাব দেয়া আছে। আপাতত পুরাতন ভবনটি দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।