আব্দুল হক সরকার
কুমিল্লার হোমনা সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থী জটিলতার কারনে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছে নির্বাচন কমিশন।
জানাগেছে, সরকারি বিধান মতে কলেজের শিক্ষক পরিষদে ৪ পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে কলেজের অধ্যক্ষ বা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদাধিকার বলে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ এই ৩ পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হয়। সেই লক্ষে সবার সর্বসম্মতিক্রমে দুই সদস্য বিশিষ্ঠ একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। তারা হলেন হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম ও দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম।
কমিশন সূত্রে জানাগেছে, গত ৮/৮/২০২৩ তারিখ নির্বাচনী তপসিল ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশন। এতে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ -৯/৮/২৩ইং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১০/৮/২৩ইং মনোনয়ন পত্র ক্রয়-১৩/৮/২০২৩ ইং মনোনয়ন পত্র জমা,বাছাই,বৈধ তালিকা প্রকাশ ১৪/৮/২৩ইং,মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার-১৬/৮/২০২৩ইং ভোট গ্রহন ২১/৮/২০২৩ ইং।
নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেন। তারা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফেরদৌস মিয়া, ইংরেজী বিভাগের খায়রুল হাসান শিপন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের মো. মোহাসিন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মমতাজ বেগম, অর্থনীতি বিভাগের মোসাম্মৎ বিউটি আক্তার,আইসিটি বিভাগের মো. ইকবাল হোসেন সজিব। যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পদে হেলেনা বেগম ও কোষাধ্যক্ষ পদে রুবেল রানা মনোনয়ন পত্র জমাদেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানাগেছে, আজ ১৬/৮/২০২৩ ইং তারিখ মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে সাধারণ সম্পাদক পদে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন প্রার্থীই তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করায় এ পদে প্রার্থী বাছাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।কিন্ত যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পদে হেলেনা বেগম ও কোষাধ্যক্ষ পদে রুবেল রানা একক মনোনয়ন পত্র জমাদেয়ায় হেলেনা বেগম ও রুবেল রানা বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন।
এ দিকে সাধারণ সম্পাদক ৬ জন প্রার্থীই নিজস্ব কারন দেখিয়ে তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ বিষয় নির্বাচন কমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম জানান, নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে কোন প্রার্থী না থাকায় পুনঃতপসিল ছাড়া প্রার্থী বাছাই সম্ভব না। এ বিষয়ে পড়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তবে কি কারনে প্রার্থীরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোন প্রার্থীই মুখ খুলছে না। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে প্রার্থীদের মতোপার্থক্য হওয়ার কারনে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনেকে ধারনা করছেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মো. নজরুল ইসলামের মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।