হোমনা( কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় বিল্লাল হোসেন (৩২) নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ রবিবার সকালে উপজেলার ঘারমোড়া ইউনিয়নের বড় ঘারমোড়া গ্রামের একটি মসজিদে নিকট থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত বিল্লাল হোসেন (৩২) ঘারমোড়া ইউনিয়নের বড় ঘারমোড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত গ্রামপুলিশ মো. জামান মিয়ার ছেলে।
বিল্লাল হোসেন স্থানীয় মাদক কারবারিদের সাথে চলাফেরা করতো। তার নামে হোমনা থানায় ২টি মাদক মামলা ও ১টি চুরির মামলা আছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সরকার পরিবর্তের পর থেকে ঘারমোড়া বাজার এলাকায় মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মাদক সিন্ডিকেটের মধ্যে গ্রুপিং চলে আসছে।
নিহত বিল্লাল হোসেনের মা সেলিনা বেগম জানান, কয়েকদিন আগে টাকার বিনিময়ে গ্রামের নজরুল ইসলামের সাথে বিল্লাল হোসেন(৩২) নদীতে মাছ ধরতে যায়। কিন্ত নজরুল ইসলাম মাছ বিক্রির টাকা বিল্লাল হোসেন কে দেয় নাই। এই নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর পর দিন তার জাল চুরি হলে বিল্লাল হোসেনকে দোষারোপ করে এবং প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়।
গতকাল শনিবার রাতে একই গ্রামের বিল্লাল হোসেনর বন্ধু দুলাল মিয়া বিল্লাল হোসেন কে ডেকে নেয়। এর পরে বিল্লাল হোসেন আর বাড়ি আসেনি । সকালে বড় ঘারমোড়া মোড়ের এক মসজিদের পাশে তাঁর গলাকাটা লাশ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে নিহত বিল্লাল হোসেনের বাবা দুই বিয়ে করেন, সে তার মায়ের সাথে ঘারমোড়া বাজারের পাশে ভাড়া বাসায় বসবাস করে এবং ভবঘুরে ও ছন্নছাড়া জীবন যাপন করতো। স্থানীয় ককারবারিদের সসাথে তার চলাফেরা ছিল। মাদক সংক্রান্ত বিরোধে তাকে খুন করা হয়েছে কিনা এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ উল ইসলাম বলেন, নিহত বিল্লাল হোসেনের লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে খুন হয়েছেন তথ্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। থানায় নিহত বিল্লালের বন্ধু দুলাল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আশা করছি, দ্রুতই এই হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।
পরিবারের পক্ষ থেকেএখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাইলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।বা