হোমনা প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাতিজার হাতে চাচা নিহত হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে হোমনা থানা পুলিশ।
সোমবার ২৫ ডিসেম্বর উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. ওসমান গনি(৭০) উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই আবুল হোসেনের ছেলে মহিউদ্দিনকে (৩০) আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসি।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, মো. ওসামান গণি ও মহিউদ্দিনের বাড়ি পাশাপাশি। তারা একে অপরের প্রতিবেশী ও সম্পর্কে চাচাত ভাইয়ের ছেলে (ভাতিজা) হন।
সোমবার ২৫ ডিসেম্বর ভোরে ফজর নামাজের পর নিহত ওসমান গনি তার ঘরের বারান্দায় বসা ছিলেন। এ সময় ওসমান গনির মোরগ মহিউদ্দিন মরিচ ক্ষেত নষ্ট করে ফেলে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মহিউদ্দিন তাঁকে (ওসমান গণি) কিল ঘুষি মারে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে তিনি ইটের মধ্যে পরে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোটভাই মো. ইউনুস মিয়া বলেন- মোরগে নাকি মহিউদ্দিনের মরিচ গাছ খেয়ে ফেলেছে। এজন্য সে আমার ভাইকে কিল ঘুষি মেরে ফেলে দিয়ে ইটদিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই।’
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. রাহিদুজ্জামান সূর্য্য বলেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মো. ওসমান গণিকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তার হার্টের সমস্যা ধরে পড়ে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়। পথিমধ্যে সে মৃত্যুবরণ করেন।
এ ব্যাপারে হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, মুরগী নিয়ে মহিউদ্দিন(৩৫) ও ওসমান গনির(৭০) মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওসমান গণিকে মহিউদ্দিন ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় রেফার করলে পথিমধ্যে তিনি মারা যান।
পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মহিউদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।