হোমনায় যত
বিশেষ প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসী। এ সমস্ত ফার্মেসীতে বিক্রেতাদের নাই কোন প্রশিক্ষণ। ফলে ভুল ঔষধ বিক্রির ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে রোগীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে।
হোমনাপৌরসভা,দুলালপুর,রামকৃষ্ণপুর,ঘারমোড়া, শ্রীপুর, কাশিপুর, চান্দেরচর, মনিপুর, ঘনিয়ারচর, আছাদপুর, নিলখী, মিরাশ, বাবরকান্দি,মাথাভাঙ্গা,কালমিনায় ১৭২ টির মত ফার্মেসী রয়েছে। এর মধ্য মাত্র ৩৬ টির লাইসেন্স থাকলেও কয়েকটি ছাড়া লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি।বাকি ১৩৬ টির কোন ট্রেড লাইসেন্স বা ড্রাগ লাইসেন্স কিছুই নেই। নেই কোন প্রশিক্ষণহীন বিক্রেতা। এসব ফার্মেসী গুলিতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও বিভিন্ন ব্যথানাশকসহ নিম্ন মানের মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ।
জানা যায়, ফার্মেসী চালাতে অবশ্যই সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্স থাকা বাধ্যতা মূলক। কিন্তু এখানে কোন নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করেই যেখানে সেখানে গড়ে ওঠেছে ঔষধের দোকান। এমনকি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অবাদে বিক্রি করে আসছেন বিভিন্ন নিম্ন মানের বিভিন্ন কোম্পানীর ঔষধ।এ ব্যাপারে ঔষধ প্রশাসনের কার্যকর তদারকি না থাকায় বাজে ঔষধ ক্রয় করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পৌরসভাসহ আশে পাশের গ্রামাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় ড্রাগ সুপার মাঝে মধ্যে এসব এলাকা পরিদর্শনে এসে অবৈধ ফার্মেসীকে বন্ধ করার নির্দেশ দেন। কিন্ত রহস্যজনক কারনে তা বন্ধ হচ্ছে না। এদিকেদড়এদিকেদড়ৃঙ অবৈধ ফার্মেসীতে অভিযানের সংবাদ পেয়ে অনেক ফার্মেসীর মালিক দোকান বন্ধ করে গা-ঢাকা দেয়। ফলে ওই সকল অবৈধ ফার্মেসীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না।
এ ব্যাপারে বৈধ লাইসেন্স দারী ফার্মেসীর একাধিক মালিক নামপ্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওইসব অবৈধ ফার্মেসীকে নিয়ন্ত্রণ
করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিবীড় তদারকির প্রয়োজন এবং সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া জরুরী।
এদিকে অনুমোদন ছাড়া কোন ব্যক্তি বা ফার্মেসী ঔষধ বিক্রি বা চিকিৎসা দেওয়া দন্ডনীয় অপরাধ জেনেও প্রতারণার মাধ্যমে গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলিকে সর্বনাশ করছেনওই অসাধ চক্র। এখনই এ চক্রকে দমন করা না গেলে গ্রামের সহজ সরল মানুষদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির পরিমান দিনদিন বৃদ্ধি পাবে বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, সিভিল সার্জন স্যারের নির্দেশনায় ইতোমধ্যে অবৈধ ফার্মেসীর তালিকা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমন দে’র সভাপতিত্বে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় অবৈধ ফার্মেসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।