আবদুল হক সরকার
কুমিল্লার হোমনায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসব জাঁকজমক ভাবে পালনের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
এ বছর ৪৭ টি মন্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন আয়োজকরা।
জানাগেছে, হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্প্রীতি কমিটি গঠনসহ নেয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।গতবছর করোনা মহামারির কারণে পূজার আয়োজন হলেও তেমন জাঁকজমক ছিল না। এ বছর করোনার প্রাদুর্ভাব না থাকায় সবার মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করছে।
এ দিকে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে হোমনা উপজেলা প্রশাসন, হোমনা থানা পুলিশ,পৌর সভায় পৃথক পৃথক প্রস্তুতি মুলক সভা ছাড়া ও নবাগত কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান বিপিএম(বার) সাথে মন্ডপ কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তবে কয়েকজন প্রতিমা শিল্পী জানান, বাজারের সব জিনিস পত্রের সাথে পাল্লা দিয়ে মূর্তি তৈরির জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই প্রতীমা তৈরীতে তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে।
এ দিকে হোমনা উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন বাবু চন্দ্রন লাল রায় জানান, গেল দুই বছর করোনার কারণে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পূজা উদ্যাপন করতে পারেননি।
তবে এবার উপজেলায় ৪৭টি সর্বজনীন পূজামণ্ডপে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশাবাদী। প্রশাসনের নিরাপত্তার পাশা পাশি প্রতিটি মণ্ডপের ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রত্যেক মণ্ডপে নিজস্ব উদ্যোগে বিদ্যুতের ব্যবস্থাসহ পূজায় মণ্ডপ পাহারার জন্য স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হোমনা মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) স্পিনা রানী প্রামানিক গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, এ বার হোমনায় ৪৭টি পূজামণ্ডপে পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে আইনশৃঙ্খলার সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ ও আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। তাছাড়া সাদা পোশাকে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম। দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে পূজামন্ডপে সিসি ক্যামেরাদ্বারা নিয়ন্ত্রন করা হবে। প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপের আশপাশের সকল ধর্মের লোকজনদের নিয়ে সম্প্রীতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ বছর উপজেলায় সরকারি ভাবে প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপে ৫শ’ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।