হোমনা( কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মারামারি,নারীনির্যাতন ও নিজ দোকান ভাংচুর করে আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে হোমনা থানার এক জি আর মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার শোভারামপুর গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবার হোমনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সমবমেলনে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়নের শোভারামপুর গ্রামের ভুক্তভোগী মো. সালাহ উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে বলেন,একটি মারা মারির ঘটনায় ঝড়না বেগম বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন।পরে গ্রামের এক সালিশের মাধ্যমে বিবাদীদেরকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে রায়দেয়। এবং জরিমানার টাকা মোতাহের হোসেনের নিকট জমা রাখে। শর্তছিল আদালতে মামলা প্রত্যাহারের পর বাদীকে এ টাকা দেয়া হবে।
কিন্ত মামলা উঠানো আগেই রকিব,রাসেল বাবু, শরীফ মিলে মোতাহের হোসেনের নিকট টাকা দাবী করে। টাকা না দিলে মোতাহের হোসেন সহ কয়েক বিচারকের বাড়ীতে হামলা করে ভাংচুর করে,এতে কয়েকজন আহত হয়। পরে মোতাহের হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় মামলা করে। মামলা নং-২ তারিখ ২৪/১১/২৪ ইং।
পরবর্তীতে আসামীরা জামিনে এসে আবু কালাম, রকিবের নেতৃত্বে মোতাহের হোসেনের নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে হুমকির ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হলে ২৮ নভেম্বর তার ছোট ভাইয়ের বিয়েতে হামলা করে। এ ঘটনায় ৩ ডিসেম্বর রকিব,বাবু, আজাদ গং এর বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মামলা হয়। কিন্ত মামলার আসামী আবুল কালাম আজাদ আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুকরে আদালত।
তিনি আরো বলেন,এলাকাবাসি সবাই জানে আবুল কালাম আজাদ,রকিব,বাবু গং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। যারা তাদের কাজে বাধাদেয় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এর অংশ হিসাবে গত রবিবার(৮ ডিসেম্বর) রাতে তার পিতার দোকান ভাংচুর করে মামলা করার জন্য সাংবাদিকদের অসত্য তথ্যদিয়ে দৈনিক রুপসী বাংলা পত্রিকায় রিপোর্ট করায়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাই।
এ বিষয় অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ মুঠোফেনে জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে আসামীরা গত রবিবার রাতে আমার দোকান ভাংচুর, লুটপাট করে পিকাপ ভ্যান দিয়ে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আমি বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছি। এ বিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হোমনা থানার এস আই মঞ্জুর জানান,উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা চলমান। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।