হোমনা( কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় বসতি এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ন্যাশনাল ব্রিক্স নামের ইটভাটা। ইটভাটার কালো ধোয়ার কারণে এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। এতে পরিবেশ বিপর্জয় ও হুমকির মূখে পড়েছে।
এদিকে সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে একদিকে আবাদি জমি, অপর দিকে আবাসিক এলাকায় অবৈধ ভাবে ইটভাটা গড়ে উঠলেও রহস্যজনক কারনে এ ইটভাটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
জানা গেছে , ইটভাটার মালিক নিজের প্রভাব খাটিয়ে এই অবৈধ ভাটা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ইটভাটার পাশাপাশি ইট তৈরির মূল উপকরণ মাটি সংগ্রহ করতে কাটা হচ্ছে আবাদি জমির টপ সয়েল। এ দিকে ভাটার পাশেই আবাদি জমির টপ সয়েল কেটে আনার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে নম্বর বিহীন ট্রাক্টর। ইটভাটায় মাটি বহনকারী নম্বর বিহীন এই ট্রাক্টর ব্যবহার করায় গ্রামীণ রাস্তাগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এতে রাস্তাগুলি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
ইটভাটার ব্যাপারে চন্ডিরচর নয়াকান্দির গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান , কয়দিন পর পর এই ইটভাটার নাম এবং মালিক পাল্টায়। প্রথমে হাজী ব্রিক্স ফিল্ড নামে ভাটা চালু হয়,পরে ন্যাশনাল ব্রিক্স নামকরন করেন তখন মালিক ছিল কামরুজ্জামান। সে ইট দেয়ার নাম করে এলাকার অনেকের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে ইট এবং না দিতে পেরে লোকজনের চাপে ভাটা বন্ধ করে দেয়।
এখন স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ কয়েকজন আবার ভাটাটি চালু করেন। তবে ট্রাকের উড়ন্ত ধুলায় পথচারীরা নানা মুখী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বিভিন্ন বয়সী মানুষ এই ধুলার কারণে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এ দিকে কয়লার পরিবর্তে খড়ি ও লাকড়ি পড়ানো ফলে উজাড় হয়ে যাচ্ছে বৃক্ষ ও গ্রামীণবনাঞ্চল। দুষিত হচ্ছে পরিবেশ। এই পরিবেশ দূষণের কারণে ফলন্তগাছ গুলো ক্রমেই ফলশূণ্য হয়ে পড়ছে।
সরেজমিনে গেলে এই ইটভাটার মালিকেরর নাম কেহ বলতে পারছে না। তবে ভাটার শ্রমিকরা জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ কয়েকজন মিলে ইটভাটা চালু করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান ছাদেক সরকারকে ফোন দিলে তিনি বলেন, ইটভাটা তো অবৈধ না । তবে এখনো পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাই নাই ।
এব্যাপারে হোমনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন,শীগ্রই সঠিক কাগজ পত্র বিহীন ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।