হোমনা( কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নে নির্মিত গ্রামীণ সড়ক এক বছর না যেতেই সড়কের বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। এতে জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে
অভিযোগ রয়েছে, নদীর পাড়ে সাপোর্টটিং ওয়াল ছাড়া অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণ এবং নির্মান কাজে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহারের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাচ্ছে সড়কটি।
এ ছাড়া অতিবৃষ্টি ও ইঠ ভাটার ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে রাস্তা ভেঙ্গে যান বাহন তো দুরের কথা লোকজন চলা চলে অসুবিধা হচ্ছে।এতে নয়াকান্দি,চন্ডিরচর কৃপারামপুর, তিতিয়া, ঘুনাথপুর, ইসলামপুর ডুমুরিয়ারসহ কয়েক গ্রামের লোকজন, রঘুনাথপুর মাদ্রাসা, কাশিপুর হাইস্কুল,রঘুনাথপুর ও তিতিয়া সরকারি প্রাইমারী স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়ে চলা চল করতে হয়। কোন অসুস্থ্য রোগী বা গর্ভবতি মহিলাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে এ রাস্তাটি ব্যবহার ছাড়া অন্য কোন বিকল্প রাস্তা নেই।
হোমনা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে কুমিল্লা, ব্রাহ্মন বাড়িয়, চাদপুর( সি বি সি) প্রকল্পের ৮৩ লাখ ০৭ হাজার ৯৫০ ব্যয়ে উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর মসজিদ ডুমুরিয়া ঘাট ভায়া রঘুনাথপুর হাজী বাড়ি সড়ক উন্নয়ন ( চাইনেজ ১২৩০-২১৮০) মিটার কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ করা হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হারুন অর রশিদ এ কাজ বাস্তবায়ন করছে।
এলাকাবাসির অভিযোগ রাস্তা নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে এবং নদীর পাড়দিয়ে গাইড ওয়াল ছাড়া অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তাটি নির্মান করা হয়েছে। এ ছাড় এ রাস্তাদিয়ে ইটভাটার ইটের ট্রাক যাতায়ত করার কারনে রাস্তাটি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের দাবী এখনই যদি মেরামত করা না তা হলে রাস্তাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো সাইফুল ইসলাম বলেন, রাস্তার ঠিকাদার বেঁচে নেই। তবে রাস্তায় কোন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি।রাস্তার কিছু কিছু স্থানে গাইড ওয়ালও নির্মান করা হয়েছে।তবে রাস্তাটি নদীর পাড়ে হওয়ায় বৃষ্টির কারনে কয়েক স্থানে ভেঙ্গে গেছে, ঠিকাদারের জামানত এখনো দেয়া হয়নি। সরেজমিনে গিয়ে রাস্তাটি মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।