মো. আব্দুল হক সরকার
কুমিল্লা হোমনা উপজেলার ৪নং চান্দেরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক এর বিরুদ্ধে তাঁর পরিষদের ১২ জন সদস্য বিভিন্ন অনিয়মের দাখিল করা অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন ইউপি সদস্যরা।
সোমবার(২১ আগস্ট) হোমনা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগ কারী ১২জন সদস্যই তাদের অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
জানাগেছে,গত বৃহস্পতিবার(১৭ আগস্ট) ওই ইউনিয়নের ১২জন ইউপি সদস্য ইউএনও’র কার্যালয়ে চান্দেরচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অভিযোগ দাখিল করেন। এতে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক নিয়মিত মাসিক সভা না করে, টি আর, কাবিখা, কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ নিজের মতো করে বাস্তবায়ন করছে। সদস্যদের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা না করেই তাদের নাম ব্যবহার করে সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার ১০ কেজি বিজিএফের চাল নিজের মতো করে বিতরণ করছে।
এ ছাড়া টিসিবি’র মাল বিতরণের ক্ষেত্রে মেম্বারদের কে ৩০ টি নাম দেয়ার কথা বলে বাকি কাডের মাল তার নিজের লোক জনের মাধ্যমে বিতরণ করছে। তার এ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে ইউপি সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
এ ব্যাপারে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য লাইলি হকসহ কয়েক জন সদস্য জানান, চেয়ারম্যানের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের ভুল বুঝাবুঝির কারনে আমরা ইউএনও স্যারের নিকট অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু বিষয়টি আমাদের উভয়ের মাঝে সমঝোতা হওয়ায় তা প্রত্যাহার করেছি।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক জানান, আমারর স্ত্রীর অসুখের কারনে পরিষদে বেশী সময় দিতে পারি নাই। তা ছাড়া আমি নিজেও অসুস্থ রয়েছি। ফলে মেম্বারদের সাথে কিছুটা দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে তারা মান অভিমান করে ইউএনও’র কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছে। সকল মেম্বারদের নিয়ে মান অভিমান ও ভুল বুঝাবুঝির সমাধান করা হয়েছে। এখন থেকে আর মান অভিমান হবে না। ইন্সাআল্লাহ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা জানান, মেম্বারদের অভিযোগ পেয়ে ডিসি স্যারকে অবহিত করেছি। বিষয়টি যেহেতু অনিয়ম সংক্রান্ত তাই তদন্ত চলবেই। মেম্বাররা নিজের খেয়াল খুশিমত অভিযোগ দিয়ে প্রত্যাহার করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না। তদন্ত করে অনিয়ম পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।