বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে আসমা আক্তার (২৭) নামের এক গৃহবধুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার ২২ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের নিহতের ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় নিহতের শশুর জিলানী মিয়া ও দেবর শাহীন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আসমা আক্তার সাইপ্রাস প্রবাসী ইয়াসিন মিয়ার স্ত্রী এবং পার্শ্ববর্তী হোমনা উপজেলার দাড়িগাঁও গ্রামে মো. হাজিল বেপারির মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, ২০১৯ সালে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মো: জিলানী মিয়ার ছেলে ইয়াসিনের সাথে পার্শ্ববর্তী হোমনা উপজেলার দাড়িগাঁও গ্রামের হাজির বেপারির মেয়ে আসমা আক্তারের সাথে বিয়ে হয়। তাদের নুসরাত নামের ৪ বছর বয়সী মেয়ে ও আয়ান নামের ৪ মাস বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নিহতের মেয়ে নুসরাত মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরে ঘরে তার মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। এসময় গলাকাটা আবস্থায় রক্তাক্ত আসমা আক্তার(২৮)এর লাশ মেঝেতে দেখতে পেয়ে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানা নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শশুড় জিলানী মিয়া, দেবর শাহীন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে নিহতের বাবা হাজির মিয়া জানান নিহত আসমা আক্তারকে বিয়ে দেয়ার পর থেকেই যৌতুকের জন্যে চাপ প্রয়োগ ও নির্যাতন করে আসছিল।পরে মেয়ের জামাইকে ব্যবসার জন্য ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায় মমার খেয়ে জামাই বিদেশ যাওয়ার পরও থেকে আবার যৌতুকের জন্য একের পর এক চাপ প্রয়োগ করতে থাকে তার শশুর শাশুরি। একপর্যায়ে যৌতুক না দিলে মেয়েকে মেরে ফেলারর ও হুমকি দিয়ে আসছিলো। আমার ধারনা
তার মেয়েকে যৌতুকের জন্য তার শশুর, শাশুরি ও দেবর পরিকল্পিত ভাবে গলাকেটে হত্যা করেছে।
নিহতের শাশুড়ী জামেলা বেগম বলেন, আমি কিছুই জানিনা। আমি আজ সিলেট থেকে এসেছি। এসে দেখি কারা যেন আমার ছেলের বউকে গলা কাইট্টা মাইরা ফালাই রাখছে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি নূরে আলম জানান সংবাদ পেয়ে সার্কেল স্যার সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নেয়া হয়েছ এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহজনক ২ জনকে আটক করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটন করতে পুলিশ কাজ করছে।