হোমনা( কুমিল্লা) প্রতিনিধি
নতুন বছরের প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হতে চলেছে। এখনও কুমিল্লার হোমনায় দাখিল ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণির অধিকাংশ বিষয়ের বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছেনি।মাধ্যমিকের ৭ম শ্রেণির ১১ বিষয় ও মাদ্রাসা শাখার ৯ম শ্রেণির ১৬ বিষয়ের বই পায়নি ছাত্রছাত্রীরা। এ সব বই কবে পাওয়া যাবে তারও কোন সঠিক তথ্য নেই শিক্ষা অফিসে। বই না থাকায় ঠিকমতো শ্রেণি কার্যক্রম হচ্ছে না। এতে ছাত্রছাত্রীরাও পড়ায় আগ্রহ পাচ্ছে না। ফলে দাখিল ও মাধ্যমিক স্তরে অনেকটা ঢিলেঢালা ভাবে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। তবে পুরনো বই দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে জানান কয়েকটি বিদ্যালয় শিক্ষক। তবে ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে অবশিষ্ট বইগুলো দ্রুত দেওয়া দরকার বলেও মনে করেন তারা।
শিক্ষা অফিস ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ও ৭ টি দাখিল মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদেরকে ৪/৫টি বিষয়ের বই দেওয়া হয়েছে। বাকি রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বইগুলি,যেমন বাংলা, ইংরেজী, গনিত, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুসন্ধানি পাঠ,বিজ্ঞান, ইসলামধর্ম,হিন্দু ধর্ম, কাংলা ব্যাকরণ, বাংলা দ্রুতপঠন,ইংরেজী গ্রামার, কর্ম ও জীবন মূখী শিক্ষা।
এছাড়া মাদ্রাসায় ৯ম শ্রণির ১৬ বিষয় যেমন কুরআন মজিদ, আকাইদ ও ফিকাহ হাদিস শরীফ, আরবী ১ম পত্র,আরবি ২য় পত্র, বাংলা, বাংলা ব্যাকরণ, ইংরেজী ইংরেজী গ্রামার, গনিত, ইসলামের ইতিহাস,ক্যারিয়ার শিক্ষা,শারীরিক শিক্ষা, কৃষি শিক্ষা, গারস্থ্য অর্থনীতি ও উচ্চতর গনিত ১৬ বিষয়ের বই এখনও দেওয়া হয়নি। তবে ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ, বাংলা দ্রুতপঠন,ইংরেজী গ্রামার ও কর্ম ও জীবন মুখী শিক্ষা ছাড়া সকল বিষয়ের বই দেওয়া হয়েছে।
আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সৈয়দ তৈহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে সন্ধ্যায় কিছুক্ষণ পড়েই উঠে যায়। কিছু বললেই বলে বই নাই।দুই মাস হয়ে গেছে। বাকী বইগুলো দ্রুত পাইলে উপকার হবে।
জানতে চাইলে হোমনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান বলেন, পর্যায়ক্রমে বই আসতেছে। বই না থাকলেও শিক্ষকদের পাঠদানে কোন সমস্যা হচ্ছে না। শিক্ষা গাইড ও ওয়েব সাইট থেকে পিডিএফ ডাউনলোড করে পাঠদান করাচ্ছেন। তবে দ্রুত বইগুলো পেলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনেক উপকার হবে।
হোমনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ মো. তৈয়ব হোসেন বলেন, পর্যায়ক্রমে বই আসতেছে। আশা করছি দ্রুত সময়ে আমরা বই পেয়ে যাব।
বার