মো.আব্দুল হক সরকার
দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষক সংকট ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চলছে উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হোমনা সরকারি কলেজ। এতে ব্যাহত হচ্ছে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম।
জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে হোমনা উপজেলা সদরে “হোমনা কলেজ ” প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট কলেজটিকে জাতীয়করণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয়করনের পর থেকে কলেজের বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষক, কর্মচারী, প্রদর্শক ও অফিস সহায়কসহ ২৬ জনের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ১৫ জন। শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ দেয়ার দাবী জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।
এ দিকে কলেজ জাতীয়করণ হওয়ার পর সরকারি বিধান মতে ৫৯ বছরে শিক্ষকরা অবসরে চলে যান। ব্যবস্থাপনা বিভাগের আবুল হাসেম ও কামরুজ্জামান ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের আবদুল গনি ভুইয়া ও মো. ফরিদ খান অবসরে চলে যাওয়ায় এ দুই বিষয়ে শিক্ষক শুন্য হওয়ায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
এ ছাড়া যুক্তিবিদ্যা,পদার্থ বিদ্যা,জীব বিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান, রাস্ট্রবিজ্ঞান, প্রদর্শক সহ অফিস সহায়ক অবসর জনিত কারনে কলেজটিতে চরম শিক্ষক সংঙ্কট থাকলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারছে না। ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগে কলেজে স্নাতক, একাদ্বশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া।
এদিকে কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামাল হোসেন ৭মে ২০২৩ ইং অবসরে গেলে উপাধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দ্বায়িত্ব পালন করে আসছে। শুন্যপদে নিয়োগের জন্য আবেদন করার পরও শিক্ষা মন্ত্রনালয় শিক্ষক কর্মচারি নিয়োগ দিচ্ছেন না। দ্রুত অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগদেয়ার দাবী জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের ছাত্র সাইফুল বলেন, শিক্ষক না থাকায় ক্লাস হচ্ছে না। এতে চরমভাবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। দ্রুত শিক্ষক দেয়ার দাবী জানান তারা।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আসমা আক্তার বলেন, শিক্ষক না থাকায় এ বিষয়ের ক্লাস হয় না। ফলে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
এ বিষয়ে হোমনা সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে যুগান্তরকে জানান, কলেজে শিক্ষক সংকট রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষক চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেছি কিন্তু পাচ্ছি না। শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে।