দর্পণ ডেস্ক রিপোর্টঃ
কুমিল্লার হোমনা-মুরাদনগর সড়কের ২৩ কিলোমিটার সড়কের হোমনা অংশের ১৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে খানাখন্দে ভরে গেছে। এতে জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এ খানাখন্দের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ফলে ভোগান্তিতে রয়েছেন হোমনা, মুরাদনগর, নবীনগর, দেবিদ্বার ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানুষ।
জানা গেছে, হোমনা উপজেলা সদর থেকে মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জে ২৩ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। সড়কটি কোম্পানীগঞ্জ হয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক, বাস, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন ঢাকা, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে।
হোমনা চৌরাস্তা হয়ে কাশিপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর তিতাস সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে হোমনা অংশে সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে ।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক গর্তে পানি জমে বড় বড় খানা খন্দের সৃষ্টি হয়ে অনেক জায়গায় গর্তের মধ্যে আটকে যাচ্ছে সিএনজি, অটোরিকশা। অনেক জায়গায় গর্তের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তা ভাঙাচোরা থাকায় যানবাহনের চালকরা জনগনের নিকট থেকে ভাড়া বেশী নিচ্ছে এবং গতি কমিয়ে যাতায়াত করছেন।এতে অর্থ এবং সময় উভয় অপচয় হচ্ছে।
এ দিকে চালকদের অভিযোগ, খানাখন্দ থাকায় সড়কটি রাতের বেলায় মরণফাঁদে পরিণত হয়। বিশেষ করে বৃষ্টি হলে হোমনা চৌরাস্তা থেকে পূর্বপাড়া অংশে বড় বড় গর্ত থাকায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ে। তা ছাড়া বৃষ্টি হলে গর্তে জমে থাকে পানি ও মীরশিকারি, শ্রীপুর, ঘাড়মোরা, কৃষ্ণপুর,কাশিপুর ও রঘুনাথপুর এলাকায় রাস্তার বিভিন্ন অংশও দুই পাশে ভেঙে গেছে।
সিএনজি চালক রুহুল আমিন বলেন, ‘আগে এ রাস্তা দিয়ে ৪০ মিনিটে মুরাদনগর যেতাম, এখন দেড় ঘণ্টা লাগছে। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বৃষ্টি হলে চৌরাস্তায় যেতেই পারি না,গাড়ি বডি পানিতে ডুবে যায়। প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে এই গর্তের কারণে।’
মাইক্রোবাসচালক বাদল জানান, রাস্তাটি ব্যবহার করে বিভিন্ন শহরে ভাড়ায় যাতায়াত করে থাকি। কিন্তু সড়কটি ভাঙাচোরা থাকায় গাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত ভাড়া নিলেও পোষাতে পারি না।
পিকআপচালক কালা মিয়া বলেন, ‘ঢাকা থেকে মালপত্র নিয়ে আমরা এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। এতে আমাদের সময় অনেক কম লাগে। কিন্তু রাস্তার যে অবস্থা, তাতে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।’
কারার কান্দি গ্রামের মোস্তফা জানান, এ রাস্তা দিয়ে হোমনা সদরে যেতে হয়। কিন্ত রাস্তার কারনে অতিরিক্ত ভাড়া দিলেও যেতে অনীহা প্রকাশ করেন অটোরিকশাচালকরা। অনেক দিন ধরে এ অবস্থা। অথচ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ বা পৌর কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের গৌরীপুর অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সালেহ জানান,পৌরসভার অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণের কারনের হোমনা সদরের কিছু কিছু জায়গার মধ্যে পানি জমে আছে। রাস্তাটি মেরামতের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
পৌর মেয়র এ্যাড. নজরুল ইসলাম বলেন সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন,
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সড়কটির পৌর সভার অংশটি আরসিসি ঢালাই করা হবে।