হোমনা( কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সরকার এর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ইয়াসিন ও আল আমিন নামের দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইয়াসিন ও আলামিন উপজেলা শ্রীমদ্দি গ্রামের মরহুম আবদুল্লাহ ও হোমনা পৌর সভার ৩ নং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ফাতেমা বেগমের ছেলে।
মামলার এজহার সূত্রে জানাগেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকালে হোমনা বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় ফেইজবুকে স্ট্যাটাস নিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সরকার ও যুবলীগ নেতা ইয়াসিনের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে ইয়াসিন লাঞ্চিত হয়। এর জের ধরে বিকালে ইয়াসিনের মামার বাড়ির লোকজন নিয়ে ফয়সাল সরকারের বাড়িতে গেলে সেখানে দ্বিতীয় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ফয়সাল সরকারের বাইক ভাংচুর সহ তার মা আহত হয়। পরে সন্ধার দিকে ফয়সাল সরকার মামলা করতে থানায় যাওয়ার পথে ইয়াসিন তার দলবল নিয়ে ফয়সাল সরকারের উপ আক্রমন করে। এতে ফয়সাল সরকার ও তার বন্ধু পালাশ আহত হয়। আহতদের হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ দিকে এ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ,যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগেরর নেতৃবৃন্দ।
আজ বুধবার সকাল ১১ টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে আল ফয়সাল প্লাজার সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলাম,পৌর যুবলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসোন ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ফেরকানুল ইসলাম পলাশ, যুবলীগ নেতা সৈয়দ মেহেদী হাসান, মাইনুল সরকার,তরিকুল ইসলাম পিয়াস, তসলিম সরকার রুবেল,ছাত্রলীগ নেতা শান্ত খন্দকার, মাহফুজুল ইসলাম সহ শতাধিক নেতাকর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে হোমনা থানা অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। দুইজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।