দর্পণ ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার হোমনায় বাবার কবর জিয়ারত করেন
সোনালী ব্যাংক পিএলসি’র নতুন ডিএমডি মো. রেজাউল করিম। গতকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বাড়িতে এসে স্থানীয় কবর স্থানে গিয়ে তাঁর কাবার কবর জিয়ারত করেন। এ সময় দুই ভাই সহ পারিবারিক সদস্যদের নিয়ে বাবার কবরের পাশে ফাতেহা পাঠ করেন এবং মুনাজাত করেন।
বেলা ১২ টার দিকে তাঁর নিজ গ্রাম শ্রীমদ্দি গ্রামবাসির কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় অংশ গ্রহন করেন। এতে গ্রামের সর্বস্তরের সহস্রাধিক গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মো. রেজাউল করিম সোনালী ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর এটি তাঁর প্রথম সফর।
এ ছাড়া বিকালে সোনালী ব্যাংক হোমনা শাখা কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ গ্রহন করে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।
সোনালী ব্যাংক হোমনা শাখার ম্যানেজার মো. মাকসুদুল আলমের সভাপতিত্বে সোনালী ব্যাংকের এসপিও সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ডিএমডি রেজাউল করিমের বাল্যবন্ধু হোমনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল হক সরকার, তাঁর ছোট ভাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক শফিউল করিম,হোমনা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম,মো. কামরুজ্জামান, প্রভাষক মো. হুমায়ুন কবির, ডেসকো কর্মকতা ও হোমনা সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস মোসলেম উদ্দিন রিপন, হোমনা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো ইয়া মুছা, কুমিল্লা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ভিপি অহিদুজ্জামান মোল্লা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. সফিকুল ইসলাম বিটন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পৌর শাখার সদস্য সচিব মো. রিয়াজুল হক, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাইজুদ্দিন শাজু, সোনালী ব্যাংক মেঘনা শাখার এজিএম মো. শহীদুল আলম,এসপিও ইমরান হোসেন, মো. আমজাদ হোসেন, মো. সিরাজুল ইসলাম, সেরাজুর রহমান, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শাহজাহান ও আবুল কাশেম প্রমূখ। পরে হোমনা প্রেস ক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
প্রকাশ গত ১০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তিনি সোনালী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার থেকে একই ব্যাংকের ডিএমডি পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
মো. রেজাউল করিম ১৯৯৪ সালে সোনালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে এবং প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন কর্পোরেট শাখার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশনে অত্যন্ত দক্ষতা ও সাফল্যের সাথে কাজ করেছেন।
দীর্ঘ তিন দশকের কর্মজীবনে তিনি মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনসহ লোকাল অফিস প্রধান, জিএম অফিস প্রধান ও প্রিন্সিপাল অফিস প্রধান হিসেবে সাফল্য ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্যাংকিং খাতে দক্ষতা ও সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘স্মার্ট ব্যাংকার ও পরিচ্ছন্ন ব্যাংকার’ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। কর্মীবান্ধব ও গ্রাহকবান্ধব বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন।
মো. রেজাউল করিম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি এমবিএ ও পেশাগত ডিগ্রি সিসিএনএ অর্জন করেন। দেশি-বিদেশি জার্নালে তার পাঁচটি প্রকাশনা রয়েছে এবং ব্যাংক সেক্টরের মাঠ পর্যায়ে কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন করে সব কার্যক্রম সহজীকরণ বিষয়ে তার তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে।
মো. রেজাউল করিম থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত ও দুবাইসহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশ নেন। তিনি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্দি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম আবদুল কুদ্দুস। ব্যক্তিজীবনে তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।