বিশেষ প্রতিনিধি :
কুমিল্লার হোমনায় ঈদকে সামনে রেখে মাদক কারবারি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
বিভিন্ন তথ্যনির্ভর সূত্রথেকে জানাগেছে এখন আর মাদক আনতে কোথাও যেতে হয় না। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পয়সা লেন-দেন করে মোবাইলে কল দিলেই পেয়ে যায় মাদকের. ডেলিভারি। মাদক প্রাপ্তি সহজতর হওয়ায় প্রত্যেকটি গ্রামের মোড়ে মোড়ে উড়তি বয়সের ছেলেরা মরননেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকাসক্ত, সামাজিক অবক্ষয়ের কারনে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়লে সেই পরিবার নরক যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়।
ড়দদহোমনায় মাদকের মধ্যে ইয়াবা,গাঁজা ও ফেন্সিডিলের চাহিদা বেশী। তবে পরিবহনের সুবিধার্থে ইয়াবার প্রচলন সবচেয়ে বেশী। তাই অধিকাংশ মাদক কারবারি ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়ছে।
এ দিকে মাদকের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জিরো টলারেন্সের অভিযানে বিপুল পরিমান মাদকসহ মাদক কারবারি ও সেবনকারী গ্রেফতার হলেও গডফাদাররা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। যারা গ্রেফতার হয় তারাও কয়েক দিনের ব্যবধানে জেল থেকে বেরিয়ে পুনরায় এ ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাদক প্রতিরোধে দৃশ্যমান ও আশানুরুপ সাফল্য দেখাতে পাচ্ছেন না।
সূত্রমতে, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় ও কঠোর নজরধারীতে উপজেলার চিহ্নিত মাদক স্পট গুলো কিছু দিন বন্ধ থাকলেও আসন্ন ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। তারা প্রশাসনের চোখ এড়াতে বিক্রির কৌশল পরিবর্তন করেছে।
উপজেলার তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা জেল হাজতে থাকলেও নতুন নতুন মাদক ব্যবসায়ীর পাশাপাশি মাদক বহনে নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন নারী মাদক ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রে আরও জানা গেছে, ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায় জড়িতরা মাদকব্যবসা নির্বিঘ্ন করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কতিপয় অসাধূ লোকজনের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে। ঈদকে সামনে রেখে অনেক মাদক সিন্ডিকেট চক্র থানার সোর্স দাবী করে এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
বিশেষ অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুমিল্লা থেকে কোম্পানীগঞ্জ – মুরাদনগর হয়ে কাশিপুর- মনিপুর দিয়ে আসাদপুর ও ঘারমোড়া ইউনিয়নে মাদক ঢুকে। তাছাড়া ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা হইতে ওয়াইব্রীজ হয়ে চান্দেরচর,দুলালপুর ইউনিয়ন হয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে। হোমনা হয়ে মেঘনা মাদক পাচার কালে কাঠপট্টি বিজার এলাকা থেকে একাধিক মাদক সহ মাদককারবারিকে গ্রেফতার ও প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছ।
এলাকার চিহৃিত মাদক বিক্রেতা ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে মহাদাপটের সাথে ইয়াবার ব্যবসা করে গত কয়েক বছরে আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।কিছু ব্যক্তি গত কয়েক বছরে লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েগেছে। নামে-বেনামে কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করে রাজনৈতিক দলের তকমা লাগিয়ে বেপরোয়া জীবনযাপন করছে।
এক সময়ের যারা অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন যাপন করতো তারা এখন আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে প্রাইভেটকার, দামি মোটর সাইকেল, চেহারায় কালো চশমা লাগিয়ে তারা সম্মানিত লোকজনদের ‘কুচ পরোয়া নেহি’ ভাব দেখিয়ে রঙিন জীবন পার করছে। অল্প দিনে অডেল টাকার মালিক হওয়ায় এলাকায় সামাজিক বিচার ব্যবস্থায় ও তারা আধিপত্য বিস্তার করেছে।
এ ব্যাপারে মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা কারী ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন,মাদক নিয়ন্ত্রনে চলমান অভিযান অব্যহত রয়েছে। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশনা রয়েছে।