হোমনা( কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় এক ইউপি মেম্বারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করেছে এলাকাবাসি। অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার ৪নং চান্দেরচর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলামিন।
আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় রামকৃষ্ণপুর ওয়াই ব্রীজ সংলগ্ন সড়কে ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর ব্যানারে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন একেএম সামসুল আলাম ভুইয়া, আল কাইয়ুম মোল্লা,সাবেক ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন, জাহিদ আল হাসান,শুভরাজ প্রমুখ। মানববন্ধনে কয়েকশত নারী-পুরুষ উপিস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তাগন বলেন, চান্দেরচর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার আলামিন ও তার ছেলে সোহেল এক সময় মাদক বিক্রির সাথে জড়িত ছিল। পরে আলামিন ো তার ছেলে সোহেল বিদেশ চলে যায়। পরবর্তীতে বিদেশ থেকে এসে আলামিন টাকা পয়সার জোরে মেম্বার নির্বাচিত হয়। কিন্ত সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে মাদক বিক্রি, জমি দখল সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ে।
তার আপন চাচাতো ভাই সাবেক ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন জানান, পারিবারিক শত্রুতার কারনে আলামিন আমাকে মিথ্যা ডাকাতি মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।শুধু তাই নয় আমার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
বক্তাগন আরো গত ২৫ জানুয়ারী রাতে রামকৃষ্ণপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিন নামের এক ক্রিকেটার যুবককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে চোখ বেদে নির্যাতন করে ডাকাত সাজিয়ে থানায় সোপর্দ করে দিয়েছে এ আলামিন মেম্বর।
হেলাল উদ্দিন নির্দোশ হওয়ায় থানা থেকে সে মুক্তি পায়। এ ঘটনায় হেলালের ভাই আল আমিন ভূইয়া বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলাটি বিচারাধীন আছে।
পরবর্তীতে আলামিন মেম্বার হয়রানির উদ্দেশ্যে তার চাচাতো ভাই সাবেক মেম্বার বিল্লাল হোসেন সহ এলাকার ১০ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা করে হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলামিন মেম্বার মুঠোফোনে বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিল্লাল হোসেন মেম্বার সহ বিরোধী চক্র আমার বিরোধীতা করে আসছে। হেলাল উদ্দিন ডাকাতি করতে এসে ধরা পড়েছে। আমি থানায় সোপর্দ করেছিলাম। পরবর্তীতে আমাকে ও আমার ছেলে সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তার ভাই মামলা করেছে।
তাই আমিও আদালতে কাউন্টার মামলা করেছি।তবে আমি মাদক বিক্রির সাথে জড়িত নই।
ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন,আলামিন মেম্বার সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় মামলা হয়েছে। আলামিন মেম্বার বাদী হয়ে হোমনা থানায় কোন মামলা করে নাই। তবে পুলিশ কোন অন্যায় কাজে সহযোগীতা করার প্রমান পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দ