মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় অবৈধ বালু ব্যববসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত সোয়া ১০টার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচর গ্রামের যুবদলের নেতা রবিউল ইসলাম রবি ও বিএনপির বারেক প্রধান গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষেরর ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতের অন্ধকারে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ বেশ সময় ধরে চলে। তবে
হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিউল ইসলাম রবি ও বারেকের নেতৃত্বে দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে নদীপথে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর উপজেলায় বিএনপিতে গ্রুপিং দেখা দেয়। সম্প্রতি এই অবৈধ অর্থের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার রাতে এ সংঘর্ষ বাঁধে।
খবর পেয়ে থানা ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেন নি।
ঘটনার পর থেকে রবিউল ইসলাম ও আবদুল বারেক প্রধানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মেঘনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল ওদুদ মুন্সি বলেন, রবিউল ও বারেক নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা তাঁদের কথা শোনেননি। মঙ্গলবার রাতে বালুর ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ বিষয় প্রমাণিত হলে অবশ্যই দল তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, ‘সংঘর্ষের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’