তিতাস ( কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার তিতাসে বাকপ্রতিবন্ধী দুই মেয়েকে বিষ খাইয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বাকপ্রতিবন্ধী এক বাবা।
সোমবার ৯ জুন ভোরে উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের তুলাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের তুলাকান্দি গ্রামের মোকবুল হোসেনের ছেলে বাকপ্রতিবন্ধী মনু মিয়া। তার দুই মেয়ে বাক প্রতিবন্ধী মনিরা (৮) ও সানজু আল ফাতেহা(৫)। মনু মিয়া দীর্ঘদিন কাজকর্ম করতে না পেরে অভাব-অনটন, শারীরিক অবস্থা ও দারিদ্রতায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
স্থানীয়রা মনে করেন পরিবারের অসচ্ছলতা ও অভাব অনটনের কারণেই দুই প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারে বাকপ্রতিবন্ধী মনু মিয়া।
দারিদ্রের কষাঘাতে পড়ে আজ সোমবার সকালে সেমাইয়ের সাথে বিষ মিশিয়ে দুই মেয়েকে খাওয়াইয়ে পরে নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। এ সময় মনু মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম রানা ঘরে পাক করছিলেন। তাদের ঘোঙ্গানীর শব্দ শুনে ঘরে এসে আশে পাশের লোকজনের সহযোগীতায় তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এতে বিষক্রিয়ায় মেয়ে মনিরা (৮) ও সানজু আল ফাতেহা (৫) মারা গেলেও বেঁচে গেছেন বাবা মনু মিয়া। মনু মিয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো. সরফরাজ হোসেন খান বলেন, সকাল ৮টার দিকে মনু মিয়া এবং তার দুই মেয়েকে হাসপাতালে আনা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই মনিরা ও ফাতেহার মৃত্যু হয়। বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। আমরা পুলিশের কাছে দুইজনের লাশ হস্তান্তর করেছি।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, বাকপ্রতিবন্ধী দুই মেয়েকে বিষ খাইয়ে বাকপ্রতিবন্ধী বাবা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বাক প্রতিবন্ধী, দারিদ্র্যতা ও পারিবারিক হতাশা থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। নিহত দুই মেয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে পাঠানো হবে।