হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লা ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার হোমনা- মুরাদনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সংযোগ স্থলে দেশের একমাত্র ওয়াই আকৃতির ‘শেখ হাসিনা-তিতাস সেতু’টি ২০১৮ সালের ১৬সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করেন।
শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজটির অধিগ্রহন করা ব্রীজের জায়গা দখল করে নিচ্ছে একদল ভূমি খেকো। এতে বহুদিনের পুরাতন হাঁসমুরগী ও গরু বাজার সহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মানুষের হাটা চলার পথ।
এ বিষয়ে মো. আহসান উল্লাহ নামের বাজারের এক ব্যবসায়ি হোমনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে রহস্যজনক কারনে দখল মুক্ত হচ্ছে না। বরং দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে পুরো ব্রীজের নীচের অংশ।
সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, কয়েকজন ব্যক্তি ব্রীজের নীচের এলজিইডি কর্তৃক অধিগ্রহন করা ব্রীজের দুই পার্শ্বের জায়গা দখল করে দোকান ঘর তুলে দোকানদারি করছে। নতুন করে রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. শাহআলম নামের এক ব্যক্তি ব্রীজের মাঝেের অংশে দোকান ঘর নির্মান করে দখল করার পায়তারা করছে। এতে জনগনের হাটাচলার রাস্তা ও দুই পাশের দোকান পাট বন্ধ হয়ে যাবে।
বাজারের দোকান দার মো. আহসান উল্লাহ জানান, মো. শাহ আলম ব্রীজের মাঝের অংশে অবস্থিত বহু দিনের পুরানো বাজারের জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মান করছে। এতে হাস মুরগী ও গরুবাজার সহ মানুষের চলাচলের রাস্তাও বন্ধ হয়ে যাবে। এতে বাধা দিতে গেলে উল্টো হুমকি দমকি ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়।
এ দিকে বাজারের ইজারাদার মো. সফিকুল ইসলাম আকন্দ জানান, রামকৃষ্ণপুর বাজার অনেক দিনের পুরানো। সেতুটি নির্মাণের পরে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগরে লোকজনের যাতায়াতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে।কিন্ত কয়েকজন ব্যক্তি ব্রীজের জায়গা দখলের কারনে বাজার তেমন জমে না। আমি ইজারা নিয়েও গরুবাজার বসাতে জায়গা পাচ্ছি না। এতে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
দখলদার মো. শাহ আলম জানান, এটি আমার জায়গা অধিগ্রহন করা হয়নি।আমি ব্রীজের জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলাম। যাদের জায়গা নাই এমন অনেক লোক দোকান উঠিয়ে ব্যবসা করছে। তাদের দেখে আমিও দোকান ঘর তুলেছি, সরকারের প্রয়োজন হলে জায়গা ছেড়ে দিব।
হোমনা উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মাসিক সমন্বয় সভায় আলাপ হয়েছে এলজিইডি বিভাগ কর্তৃক অধিগ্রহন কৃত জায়গা দখলমুক্ত করার জন্য বাঞ্ছারামপুর এলজিইডি অফিসে যোগাযোগ করছি। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
হোমনা উপজেলার এসিল্যান্ড মো. ইউসুফ হাসান জানান ইউনিয়ন ভুমি অফিসের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনার তালিকা করার নির্দেশ দেয়া হয়োছে। তালিকা পেলে দ্রুত তা উচ্ছেদ করা হবে।
ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা জানান,অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে এসিল্যান্ড ও প্রকৌশলীকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জমিটি এলজিইডি বিভাগের হওয়ায় সরাসরি ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি মো. শিরাজুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, অধিগ্রহনকৃত ওয়াই ব্রীজের নীচের বাঞ্ছারামপুর অংশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। হোমনা অংশে অবৈধ দখলদার মুক্তকরার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করছি। অবশ্যয়ই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।